বাউফল-ভোলা ফেরি চালু হলে,খুলে যাবে উন্নয়নের দুয়ার

 বাউফল-ভোলা ফেরি চালু হলে,খুলে যাবে উন্নয়নের দুয়ার

দেলোয়ার হোসেন বাউফল (পটুয়াখালী) :  পটুয়াখালীর বাউফল -ভোলা ফেরি সার্ভিস চালু হলেই যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে এবং খুলে যেতে পারে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দুয়ার। দক্ষিণাঞ্চলে নতুন কর্মস্থান সুষ্টির লক্ষ্যে চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরের মধ্যে আন্ত:সড়ক ও নৌ-যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছোট ট্রলার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল তেতুঁলিয়া পাড়ি দেয় বাউফল-ভোলার এ দুই জেলার মানুষ। এতে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
বাউফল-ভোলা ফেরি সার্ভিস চালু ব্যাপারে ধারনা নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে কালাইয়া, চন্দ্রদ্বীপ ও ভোলার লালমোহনের নাজিরপুর পয়েন্ট পরির্দশন করেছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম ফিরোজ এমপি।
পরির্দশন কালে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আল-আমিন,উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খাঁন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো.আনিসুর রহমান,কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম ফয়সাল আহম্মেদ ও চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ।
আ.স.ম ফিরোজ এমপি বরিশাল.লাইভকে জানান, জনগনের ভোগান্তি লাঘব ও দুই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে তেতুঁলিয়া নদীতে ফেরি সার্ভিস চালুর কথা ভাবছে উন্নয়নের সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই রুটে ফেরি সার্ভিস চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা  অর্থনৈতিকভাবে নতুন দিগান্তের সূচনা হবে। চট্্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর,পায়রা সমুদ্র বন্দর ও মংলা সমুদ্র বন্দরের সাথে সংযোগ স্থাপন হবে। এতে দক্ষিনাঞ্চলের অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এবং কর্মস্থানের সৃস্টি হবে।
চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক  বলেন,বাউফলের মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি জনপদ চন্দ্রদ্বীপ। এখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে যাতায়াতের একমাত্র ব্যবস্থা নৌকা ও ট্রলার। বর্ষার সময় ঝুকি নিয়ে দুই পারের লোকজন নদী পারাপার করে থাকে। ভোলার লালমোহন ও বাউফলের কালাইয়া রুটে ফেরি চালু সাভির্সের সাব-স্ট্রেশন তৈরি করা হলে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের হাজার হাজার অবহেলিত মানুষের জীবন-যাত্রার পরিবর্তন ঘটবে।
জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে একটা ধারনা নেওয়া হয়েছে। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।